বিডিপ্রেস এজেন্সি ডেস্ক : ইতিকাফ তাকওয়া অর্জন করার একটি বড় মাধ্যম। এতে লায়লাতুল কদর অনুসন্ধানের সুযোগ হয়। ইতিকাফ মানুষকে দুনিয়াবী ব্যস্ততা পরিহার করে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মগ্ন হওয়া শিক্ষা দেয় এবং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্ক জুড়ে দেয়। এতে আল্লাহর প্রতি মহববত বৃদ্ধি পায়।
আল্লাহ তাআলা তার বান্দার গুনাহ মাফ করিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ কিছু সুযোগ দিয়েছেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এ মাসের শেষ দশকের বরকতময় রজনী ‘লায়লাতুল কদর’ (ليلة القدر) যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সেই রজনী পাবার জন্য ইতিকাফ এক বিশেষ ব্যবস্থা।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে নববীতে রমজানের শেষ দশকে নিয়মিত ইতিকাফ করেছেন। তার মৃত্যুর পরে তার স্ত্রীগণও ইতিকাফ করেছেন’। (বুখারি হা/২০২৬; মুসলিম হা/১১৭২; মিশকাত হা/২০৯৭)
নারীদের জন্য বাড়ীর নিকটস্থ মসজিদে ইতিকাফ করা উত্তম। (ফাৎহুল বারী হা/২০৩৩ এর আলোচনা)
২০শে রমজান সূর্যাস্তের পূর্বে ইতিকাফ স্থলে প্রবেশ করবে এবং ঈদের আগের দিন বাদ মাগরিব বের হবে। (সাইয়িদ সাবিক্ব, ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/৪৩৬ ‘ইতিকাফ স্থলে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময়’ অনুচ্ছেদ)
তবে বাধ্যগত কারণে শেষ দশদিনের সময়ে আগপিছ করা যাবে। প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া ইতিকাফকারী নিজ বাড়ীতে প্রবেশ করবে না। (বুখারি হা/২০২৯)।
বিডিপ্রেস এজেন্সি/টিআই