
রফিকুজ্জামান,বিডিপ্রেস এজেন্সি,ফরিদপুর : দৃষ্টিনন্দিত আর্ন্তজাতিক মানসম্পন্নতায় তৈরী ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড় এলাকা, সুরক্ষিত ও নিরাপত্তাবেষ্ঠিত অনওয়ে এক্সপ্রেস সড়ক এবং বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে তৈরী স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন এলাকা সমূহের মনোমুগ্ধকর পরিবেশ বাস্তবে ঘুরে দেখতে পদ্মা নদীর উভয় পাড়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করছেন।
আগত পর্যটকদের সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা। পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড়ে নদীর উভয় পাড়ের প্রকল্প এলাকা সমূহে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে ব্যাঘাত ঘটছে। উৎসুক পর্যটকদেরকে ঘিরে প্রকল্প এলাকায় অস্থায়ী দোকানপাট ও ভ্রাম্যমান হকারদের দৌরাত্বও বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখিত সকল প্রকার বিড়ম্বনা এড়াতে পদ্মা সেতু উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে কিছু বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের চৌকশ দলের বিশেষ তদারকিতে সাধারণ পর্যটকদের সুবিধার্তে শুধুমাত্র কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট প্রকল্প এলাকার বাহিরে নয় কিলোমিটার পাকা বাইপাস সড়ক নির্মান সম্পন্ন করা হয়েছে।

এখন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত দর্শণার্থীগণ কাঁঠালবাড়ী এলাকার এই নয় কিলোমিটার রাস্তাটি ব্যবহার করে পদ্মা নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা চরে দাঁড়িয়ে অতি নিকট থেকে পদ্মা সেতুর ৭০ ভাগ পর্যন্ত বাস্তবে দেখতে পারবে। পূর্বে দেশের সাধারণ জনগণের নিকট পদ্মা সেতু নির্মান স্বপ্নের মত মনে হলেও এখন তা বাস্তবে রুপ নিয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মানে আর্ন্তজাতিক যে চ্যালেঞ্জ গ্রহন করেছিলেন সেই চ্যালেঞ্জে আজ জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ।

উল্লেখ্য পদ্মা সেতু উন্নয়ন প্রকল্প এলাকার বাহিরের নয় কিলোমিটারের নতুন সড়কটি নবাগত দর্শণার্থীদেরকে চিনিয়ে দিতে ও পদ্মা সেতু এবং এক্সপ্রেস ওয়ের নয়নাভিরাম অপরুপ সৌন্দর্য মন্ডিত এলাকাসমূহ পরিদর্শনে একঝাঁক নিয়োগকৃত সিকিউরিটি ইউনিটের সদস্যগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।কাঁঠালবাড়ী ফেরিঘাট অঞ্চলের উন্নয়ন প্রকল্পের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, সকল প্রকার আগত পর্যটকদের (নারী-পুরুষ-শিশু) সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছি। আগামীতে এসব দর্শণীয় স্থান সমূহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
বিডিপ্রেস এজেন্সি/আরজে/এমকে